বং নিউজ: প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক নতুন বিপ্লব আনতে চলেছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। স্মার্টফোন ছাড়া যেন আমাদের জীবন কল্পনাই করা যায় না। ফোন করা থেকে শুরু করে গান শোনা, ভিডিও দেখা, অনলাইনে কেনাকাটা সবকিছুই এখন স্মার্টফোনের (Smart Phone) মাধ্যমে। কিন্তু ভবিষ্যতে কি স্মার্টফোনের প্রয়োজন আর থাকবে না? ইলন মাস্ক দাবি করছে, আর স্ক্রিনে চোখ রাখা বা আঙ্গুল লাগানোর কোন দরকার পড়বে না। শুধু একবার মনে মনে ভাবলেই সব কাজ হয়ে যাবে।
ব্রেন চিপ প্রযুক্তি | Neuralink |
ইলন মাস্কের সংস্থার নিউরালিঙ্ক (Neuralink) এমন একটি প্রযুক্তি (Technology) আনতে ,যা মানুষের মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটারকে সরাসরি সংযুক্ত করে কাজ করবে। এই ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস (Brain Computer Interface) প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র চিন্তার মাধ্যমেই স্মার্টফোনের সব কাজ সেরে নিতে পারবে। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। এর জন্য মস্তিষ্কে একটি ছোট চিপ বসানো হবে। এই চিপ মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সরাসরি কাজ করবে। ব্যবহারকারীরা যা ভাববেন সেটাই সরাসরি বাস্তবে রূপ নেবে এই চিপের মাধ্যমে।
ফোন করা থেকে নেভিগেশন, সব সমাধান হবে
কল্পনা করুন যে, কারো সঙ্গে কথা বলতে চান। তাহলে শুধুমাত্র একবার ভাবলেই তার সঙ্গে কল কানেক্ট হয়ে যাবে। মিউজিক শুনতে চান? তাহলে আপনার মস্তিষ্কে বেজে উঠবে আপনার পছন্দের মিউজিক। গুগল ম্যাপে লোকেশন দেখতে চান? সরাসরি আপনার মনে ভেসে উঠবে সেই লোকেশন। তাই কোন স্ক্রিন নয়, কোন স্পর্শ নয়, বরং মস্তিষ্কের দ্বারাই চলবে এই পুরো প্রযুক্তি।

সফল পরীক্ষার খবর
নিউরালিঙ্ক সংস্থা ইতিমধ্যেই দুজন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতে বড়সড় ঝুঁকি রয়েছে। কারণ মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের ফলে যে কোন ভুল হলে ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। পাশাপাশি চিপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে পারে প্রযুক্তিগত সংস্থা। তাই তথ্য চুরির ভয় থাকছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই প্রযুক্তি কি আসলেই স্মার্টফোনের যুগের ইতি টানতে পারে?
আরও পড়ুন: সাপ ও মানুষ একসাথে বাস করে! ভারতের এই রাজ্যে সাপের বসবাস সবচেয়ে বেশি
ভবিষ্যতে কি হবে?
ইলন মাস্কের মতে এই প্রযুক্তি মানব সভ্যতার জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে। যদিও এই চিপ এখনো ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহারে আসেনি। তবে প্রযুক্তি নিয়ে এটির বিষয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। এখন সময়ই সবকিছু বলে দেবে।