চোখ রাঙাচ্ছে আবারও করোনা (Corona)। সামান্য কয়েকদিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যায় হঠাৎ করেই লাফ — যেন ফিরে আসছে অতীতের সেই দুঃসহ দিনগুলির স্মৃতি।
গত ২৬ মে দেশে যেখানে অ্যাক্টিভ করোনা কেস ছিল মাত্র ১০১০, সেখানে চার দিন পর ৩০ মে-তে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭১০-এ। এই বৃদ্ধির হার প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি, যা স্বাস্থ্যবিশারদদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
কোথায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, কেরল এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য —
- কেরলে আক্রান্ত ১১৪৭ জন
- মহারাষ্ট্রে ৪২৪
- দিল্লিতে ২৯৪
- গুজরাটে ২২৩
- তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে ১৪৮ করে
- পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ১১৬ জন
অন্য রাজ্যগুলোর চিত্র
ছোট রাজ্যগুলোতেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যেমন—
- রাজস্থান: ৫১
- উত্তরপ্রদেশ: ৪২
- পুদুচেরি: ২৫
- হরিয়ানা: ২০
- অন্ধ্রপ্রদেশ: ১৬
- মধ্যপ্রদেশ: ১০
- গোয়া: ৭
আরও কয়েকটি রাজ্যে ২–৪ জন করে আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে — ওড়িশা, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচলপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, চণ্ডীগড়, মিজোরাম ও অসম। তবে আন্দামান নিকোবর, সিকিম ও হিমাচলপ্রদেশে এখনই করোনা আক্রান্তের খবর মেলেনি।
মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে
পরিসংখ্যান বলছে, মে মাসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
- মহারাষ্ট্রে ২ জন,
- দিল্লিতে ১ জন,
- পাঞ্জাবে একজন শিশু
মৃতদের মধ্যে ৬ জনই ছিলেন প্রবীণ এবং অন্য শারীরিক জটিলতা ছিল।
তাহলে কি ফের ভয় পাওয়ার সময়?
না, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাঁদের মতে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট অতটা শক্তিশালী নয়। তবে যারা বয়স্ক, যাদের ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য সতর্কতা জরুরি।
কী করা উচিত এখন?
- হালকা সর্দি-কাশি বা জ্বর হলে পরীক্ষা করিয়ে নিন।
- বয়স্কদের মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত।
- যাদের টিকা নেওয়া হয়নি বা বুস্টার ডোজ বাকি আছে, তারা যেন দ্রুত তা নিয়ে নেন।
আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বাড়লেও এখনও দেশের হাসপাতালগুলি বা স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর বড়সড় চাপ পড়েনি। তবে সতর্কতা ও সচেতনতা এখনই জরুরি, যেন আগামিদিনে আবারও করোনার সেই ভয়াবহ রূপ ফিরে না আসে।