Jadavpur University Incident: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অশান্তি নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য থেকে রাজনীতি। এই বিতর্কের মধ্যেই সরব হলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। তার স্পষ্ট বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে চুপ রয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই সংযম বেশি দিন আর টিকবে না।
যাদবপুরে টানা উত্তেজনায় মদনের হুঁশিয়ারি
গত শনিবার, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গেলে সেখানে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে বিতর্কের আগুন ছড়িয়ে গেছে চারিদিকে। টানা চারদিন পার হয়ে গেলেও এই সমস্যার সমাধান মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মদন মিত্র ABP আনন্দতে (ABP Ananda) মুখ খুললেন। তার বক্তব্য, “বড় জমায়েত ডাকা হোক যাদবপুর থেকে। সেখানে ঘোষণা হোক, এটি আমাদের শেষ অনুরোধ। আমরা শাস্তি চাইছি। কিন্তু যদি এই অশান্তি চলতে থাকে তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না।”
এর আগেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ১ মিনিটে যাদবপুরের পরিস্থিতি বদলে দেওয়া সম্ভব। এবার মদন মিত্র বললেন, “অরূপ ১ মিনিটে বলেছে। আমি ৩০ সেকেন্ডে বদলে দিতে পারবো। দুটো কান তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না কথা বলার জন্য।”
বাংলাকে বাংলাদেশ বানাতে দেওয়া যাবে না
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) স্পষ্ট বলেছে, “পরিস্থিতি যেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মত না হয়।” অর্থাৎ, বাংলাদেশের (Bangladesh) মতো না গড়ায়। এই প্রসঙ্গে মদন মিত্রের কড়া প্রতিক্রিয়া, “কারা বাংলাকে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করছে? আমরা বসে থাকবো না। বাংলা ছাত্র এবং যুব সমাজ গর্জে উঠছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংযম দেখাচ্ছি। কিন্তু এই সংযম আর বেশি দিন টিকিয়ে রাখবো না।”
কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) বা পুলিশ মোতায়নের দাবি উঠেছে রাজ্য থেকে রাজনৈতিক মহলে। তবে মদন মিত্র তার বিরোধিতা করে বলেন, “পুলিশ নিয়ে কোন সমস্যা সমাধান করা যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ লাঠিচার্জ করুক, তা চাই না। একবার চড় মারলে দ্বিতীয়বার চড় মারার জায়গা থাকবে না।”
আরও পড়ুন: একটি ২০ টাকার নোট আপনাকে দিতে পারে ৪ লাখ টাকা, কীভাবে পাবেন দেখুন
এছাড়া তিনি দাবি করেছেন, “কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি একজোট হয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে গোলমাল করার সৃষ্টি করছে। কিন্তু মানুষ সব বুঝতে পারছে। ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোথাও সেই ধর্মঘট সফল হয়নি।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্কে যেন থামার নয়। রাজনীতির ময়দানেও এই ঘটনা আলোচনার একদম কেন্দ্রবিন্দুতে। মদন মিত্রের হুশিয়ারি থেকে স্পষ্ট, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে আরো বড় রাজনৈতিক সংকট হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় কত দ্রুত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।