বং নিউজ, ওয়েবডেস্কঃ কলকাতার অন্যতম বৃহত্তর ও জনপ্রিয় শপিংমল সাউথ সিটি মল (South City Mall) নিয়ে বড় চমক। এবার নাকি সাউথ সিটি মল বিক্রি হতে চলেছে। খুব শীঘ্রই এটি বিক্রি হতে পারে একটি মার্কিন বিনিয়োগকারী সংস্থার হাতে। হ্যাঁ এমনটাই শোনা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কারা এই মার্কিন সংস্থা?
এই বিশাল মলটি কিনতে পারে আমেরিকার অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী সংস্থা ব্ল্যাকস্টোন, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে নিউ ইয়র্কে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ব্ল্যাকস্টোন সংস্থা। পিটার পিটারসন এবং স্টিফেন সোর্সম্যানের উদ্যোগে শুরু হয় এই সংস্থাটি। প্রধানত বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ করাই এই সংস্থার মূল কাজ। এবার কলকাতা সাউথ সিটি মলে বিনিয়োগ করতে চলেছে এই মার্কিন সংস্থা।
কলকাতার শপিং দুনিয়ার মুকুট: সাউথ সিটি মল | South City Mall |
২০০৮ সালে কলকাতার বৃহত্তম শপিংমল হিসেবে গড়ে ওঠে সাউথ সিটি মল। পূর্ব ভারতের বৃহত্তম মলগুলির মধ্যে এটি সবথেকে বড়। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে এখানে। শুধুমাত্র কলকাতায় নয়, বরং বাইরের শহর থেকেও প্রচুর পরিমাণে মানুষ আসেন এই শপিংমলে কেনাকাটা করতে। তবে দীর্ঘ কয়েক দশকের অধ্যায় এবার নতুন মালিকের হাতে চলে যেতে চলেছে।
কত টাকার বিনিয়োগ হতে পারে?
বেশ কিছু সংবাদ সংস্থা দাবি করছে, মার্কিন সংস্থা ব্ল্যাকস্টোন এই মল কিনতে পারে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। সাউথ সিটি মলের বর্তমান অংশীদারদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আলোচনা চলছে। ব্ল্যাকস্টোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সম্ভবত আগামী ২ মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতায় আমেরিকান বিনিয়োগ
প্রথমত জানিয়ে রাখি, গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা শহরে গিয়ে কলকাতায় বড় বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ব্ল্যাকস্টোনের কলকাতায় বিনিয়োগের খবর নতুন চমক সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: “ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় হোক”, দোলের আবহে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী
কী প্রভাব পড়বে কলকাতার উপরে?
যদি সত্যি ব্ল্যাকস্টোন সাউথ সিটি মলের মালিকানা পেয়ে যায়, তাহলে এই পরিবর্তনগুলি সাধারণ মানুষের উপর কী প্রভাব ফেলবে? প্রথমত নতুন বিনিয়োগের ফলে মলের আরও উন্নতি হতে পারে। দ্বিতীয়ত নতুন ব্র্যান্ড এবং সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করা হতে পারে। এছাড়া সাউথ সিটি মল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।
তবে এখনো এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই বড় লেনদেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হতে পারে। তবে একথা নিশ্চিত যে, কলকাতার ব্যবসায়িক জগতে এটি একটি বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে।